চরফ্যাসন প্রতিনিধি॥ চরফ্যাসনের দুলারহাটে দশম শ্রেনীর স্কুল ছাত্রীকে অপহরনের পর ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে মো. বাচ্চু নামের দুই সন্তানের জনকের বিরুদ্ধে। গতকাল মঙ্গলবার ওই ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে অভিযুক্ত মো. বাচ্চুকে আসামী করে দুলারহাট থানায় মামলা দায়ের করেছেন। গত ১৭ এপ্রিল চরযমুনা গ্রামের নায়েব বাড়ির সংলগ্ন রাস্তা থেকে জোরপূর্বক সিএনজিতে তুলে নিয়ে ভোলা সদরের পরানগঞ্জ এলাকায় আটকে রেখে ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। ঘটনার দিন ওই ছাত্রীর বাবা মেয়েকে অপহরনের অভিযোগে দুলারহাট থানায় লিখিত অভিযোগ দিলে অপহরনের দু’দিন পর পুলিশ সোমবার রাতে ভোলার পরানগঞ্জ এলাকায় অভিযান চালিয়ে ভিক্টিম ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করে এবং অভিযুক্ত মো. বাচ্চুকে আটক করেন। অভিযুক্ত বাচ্চু দুলারহাট থানার নীলমকল ইউনিয়নের চর যমুনা গ্রামের মৃত.আবদুল মালেকের ছেলে। পুলিশ ও এজাহার সুত্রে জানা যায়, ভিক্টিম ছাত্রী ও বাচ্চু একই গ্রামে বসবাস করেন। একই গ্রামে বসবাসের সুত্রে ওই ছাত্রীকে প্রায় সময় ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেল চালক মো. বাচ্চু উত্ত্যক্ত ও কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন। ঘটনারদিন ভিক্টিম ছাত্রী প্রাইভেট পড়ার জন্য নিজ বাড়ি থেকে বের হলে পুর্ব পরিকল্পিত অনুযায়ী মো. বাচ্চু তাকে চরযমুনা গ্রামের নায়েব বাড়ির সংলগ্ন রাস্তা থেকে জোরপূর্বক সিএনজিতে তুলে নিয়ে যায়। স্থানীয়দের কাছ থেকে স্বজনরা খবর পেয়ে তাকে উদ্ধারে ব্যার্থ হয়ে থানা পুলিশের সহায়তা নেন। এবং ওই ছাত্রীকে অপহরন করা হয়েছে বলে লিখিত অভিযোগ দেন। অপহরনের দু’দিন পর সোমবার রাতে পুলিশ ভোলার পরনগঞ্জ থেকে অভিযুক্ত বাচ্চুর জিম্মিদশা থেকে ভিক্টিম স্কুল ছাত্রীকে উদ্ধার করেন। এবং অভিযুক্ত অপহরনকারী বাচ্চুকে আটক করেন। এঘটনায় ভিক্টিম ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে মেয়েকে অপহরনের পর দু’দিন আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগ তুলে মো. বাচ্চুকে আসামী করে মামলা দায়ের করেছেন। দুলারহাট থানার ওসি মো. মোরাদ হোসেন জানান,অপহৃত ওই স্কুল ছাত্রীকে উদ্ধার করা মেডিকেল পরিক্ষা সম্পন্ন করা হয়েছে। এবং অভিযুক্ত অপহরনকারী বাচ্চুকে আটকের পর প্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
Leave a Reply